সাম্প্রতিক কালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) কাছে ক্রেডিট স্কোর সম্পর্কিত অনেক অভিযোগ জমা হচ্ছিল। এইজন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) কয়েক মাস আগে এই CIBIL স্কোর সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং আগের থেকে নিয়মগুলিকে আরও কঠোর করে। এই নয়া নিয়ম কার্যকর হয়েছে এপ্রিল,২০২৪ থেকে। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মোট ৫ টি নিয়ম তৈরি ও কার্যকর করে। সেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত রইল আজকের প্রতিবেদনে।
গ্রাহকের CIBIL চেক করলে সেটি গ্রাহককে জানাতে হবে
নতুন নিয়ম অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) সমস্ত ক্রেডিট তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থাগুলিকে জানিয়েছে যে যদি কোনও ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি গ্রাহকের ক্রেডিট রিপোর্ট পরীক্ষা করে, তাহলে গ্রাহকের কাছে সেই সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে। এই তথ্য ই-মেইল বা এসএমএস এর গ্রাহককে জানাতে হবে। ক্রমাগত ক্রেডিট স্কোর সংক্রান্ত অনেক অভিযোেগ সামনে আসার ফলে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গ্রাহককে অনুরোধ প্রত্যাখানের কারণ জানাতে হবে
যদি কোনও গ্রাহকের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় তবে গ্রাহককে তার অনুরোধ প্রত্যাখানের কারণ জানাতে হবে। কারন এটি করা না হলে গ্রাহক বুঝতে পারবেনা কেন তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তাই অনুরোধ প্রত্যাখান এর সমস্ত কারণগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা সমস্ত ক্রেডিট প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আরও পড়ুন: সরাসরি সরকারি সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনে চাকরির সুযোগ! আবেদন প্রক্রিয়া সহ বিস্তারিত জেনে নিন
গ্রাহকদের বিনামূল্যে বছরে একবার সম্পূর্ণ ক্রেডিট রিপোর্ট দিতে হবে
ক্রেডিট সংস্থাগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) জানিয়েছে, তারা যেন বছরে একবার তাদের গ্রাহকদের বিনামূল্যে সম্পূর্ণ ক্রেডিট স্কোর রির্পোট দেয়। ক্রেডিট কোম্পানিকে এইজন্য তার ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক রাখতে হবে যেখান থেকে গ্রাহকরা সহজেই ও বিনামূল্যে তাদের সম্পূর্ণ ক্রেডিট রিপোর্ট পরীক্ষা করতে পারেন। এরফলে বছরে একবার গ্রাহকরা তাদের CIBIL স্কোর এবং সম্পূর্ণ ক্রেডিট ইতিহাস জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Big News: এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি নিয়ে বড় নির্দেশ দিলো বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা
গ্রাহককে জানানো উচিত ডিফল্ট রিপোর্ট করার আগে
গ্রাহক সম্পর্কে ডিফল্ট রিপোর্ট করার আগে ওই গ্রাহককে সেটি জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে ই-মেইল ও এসএমএস মারফত সমস্ত তথ্য শেয়ার করতে হবে। ক্রেডিট স্কোর সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাঙ্ক ও ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
অভিযোগের সমাধান করতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে
ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের সব অভিযোগের সমাধান করতে হবে। যদি তারা সেটি না করতে পারে তবে নির্দিষ্ট দিনের পর থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। যত দেরিতে অভিযোগের সমাধান হবে, জরিমানার পরিমাণ তত বেশি হবে। এক্ষেত্রে ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান সময় পাবে ২১ দিন ও ক্রেডিট ব্যুরো সময় পাবে ৯ দিন। ব্যাঙ্ক যদি ২১ দিনের মধ্যে ক্রেডিট ব্যুরোকে তথ্য না জানায়, তবে ক্ষতিপূরণ দেবে ব্যাঙ্ক। আবার যদি দেখা যায় ব্যাঙ্ক থেকে তথ্য পাওয়ার ৯ দিন পরেও অভিযোগের সমাধান হয়নি তবে এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ক্রেডিট ব্যুরোকে।
আরও পড়ুন: WBSSC: উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হল কলকাতা হাইকোর্টে, বিস্তারিত জানুন