দেশের শীর্ষস্থানীয় তিনটি মোবাইল টেলিকম সংস্থা জিও (Jio), ভোডাফোন-আইডিয়া (Vi), এয়ারটেল (Airtel) জুলাই মাসের শুরু থেকেই তাদের রিচার্জের দাম বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে গ্রাহকদেরকে রিচার্জের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সংস্থাগুলি একদিকে যখন রিচার্জের দাম বৃদ্ধি করেছে, অপরদিকে বিএসএনএল (BSNL) সংস্থা তাদের রিচার্জের দামে কোনো পরিবর্তন আনেনি। এই কারণে অনেকেই নিজেদের সিম বিএসএনএল (BSNL)-এ পোর্ট করিয়ে নিতে চাইছেন।
তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো, দেশে সম্প্রতি নতুন পোর্টিং নিয়ম চালু হয়েছে। সেই নিয়মগুলি মানতে পারলেই পোর্টিং করানো যাবে।
Mobile number portability (MNP) নতুন নিয়ম:
৭ দিন লক ইন পিরিয়ড মেনে চলতে হবে নতুন টেলিকম অপারেটরে যাওয়ার জন্য। অর্থাৎ সিম পোর্টিং-এর জন্য আবেদন করার পর ৭ দিন পরে পোর্টিং সম্পন্ন হবে। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে এমনটাই বলা হয়েছে। কোনও ব্যালেন্স বকেয়া না থাকলে, ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মোবাইল নম্বর অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে।
পোর্ট করাবেন কীভাবে?
(১) সবার প্রথমে ১৯০০ নম্বরে একটি এসএমএস (SMS) লিখে পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন: UGC: ২২টি ভাষায় ২২ হাজার বই তৈরি করার উদ্যোগ! পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানে বড় উদ্যোগ ইউজিসি-র
(২) ‘PORT’ লিখে একটি স্পেস দিয়ে আপনার ১০ অক্ষরের মোবাইল নম্বর লিখে ১৯০০ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।
(৩) এই এসএমএসটি পাঠানোর পর আপনার কাছে একটি কোড আসবে। বিএসএনএল সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে আপনাকে সেই কোডটি দেখাতে হবে।
(৪) এরপর বিএসএনএল সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে আপনাকে নতুন সিম নিতে হবে।
(৫) বিএসএনএল সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে KYC-এর জন্য পরিচয় পত্র হিসেবে আপনাকে আধার কার্ড ও ছবি দিতে হবে। এরপর বায়োমেট্রিক তথ্য দিলে সমস্ত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। এরপরেই আপনার বিএসএনএল কানেকশন চালু হয়ে যাবে।
কী কী সুবিধা এবং অসুবিধা আছে?
বিএসএনএল (BSNL) নেটওয়ার্কের সিম নেওয়ার অন্যতম সুবিধা হল বিএসএনএল-এর রিচার্জে অনেক কম খরচ হয়। জিও (Jio), ভোডাফোন-আইডিয়া (Vi) এবং এয়ারটেল (Airtel)-এর তুলনায় বিএসএনএল (BSNL)-এর রিচার্জ প্ল্যানগুলি অনেক সস্তা। বিএসএনএল-এর ৩৬৫ দিন, ৮৪ দিন, ৩০ দিন বা ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি সম্পন্ন প্ল্যান অনেক কম দামেই পাওয়া যায়। বিএসএনএল-এর এই প্ল্যানগুলিতে দৈনিক ১জিবি, ১.৫ জিবি, ২ জিবি ডেটার সুবিধার পাশাপাশি আনলিমিটেড ভয়েস কলিংয়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
তবে বিএসএনএল (BSNL) সিমের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। বিএসএনএল-এর প্রধান অসুবিধা হল এর দুর্বল নেটওয়ার্ক। এছাড়াও বিএসএনএল-এ ৫জি অফারও পাওয়া যায় না। জিও, এয়ারটেল-এর মত সংস্থাগুলি ৫জি অফার আনলেও বিএসএনএল এখনও ৫জি অফার শুরু করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: শুধু মহিলা নয়, এবার যুবকরাও মাসে ১০,০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন! বিরাট ঘোষণা সরকারের
তবে বিএসএনএল সংস্থা জানিয়েছে, তারা অনেক পরিকল্পনা করেছে পরিষেবা উন্নত করার জন্য। এছাড়াও ৪জি টাওয়ারও বসানো হচ্ছে। ভয়েস কলিং এবং ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত করার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। বিএসএনএল পরিষেবাকে আগামী দিনে আরও মজবুত করার জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: BSNL internet: দুরন্ত গতিতে চলবে ইন্টারনেট! BSNL-এর গ্রাহকদের ফোনে শুধু এই কাজটি করতে হবে