গত বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose), মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সহ আরো অনেকেই। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন একাধিক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
ঐদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে সকলকে সতর্ক করেছেন। বিদ্যুৎ অপচয় যাতে বন্ধ করা হয় সেই বিষয়ে তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বিদ্যুৎ অপচয় সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান যে, “অনেক সময়ই খবর আসে সরকারি অফিসে যখন লোক থাকছে না তখনও ফ্যান, আলো জ্বলছে, এমনকী AC ও ব্যবহার হচ্ছে। এভাবে বিদ্যুতের অপচয় বরদাস্ত করা হবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এই নির্দেশিকা বাণী ঐদিন বৈঠকে আলোচনা হওয়ার পরপরই তার সতর্কতা মেনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের একাধিক স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
একাধিক স্কুল ও সরকারি দপ্তরগুলিতে দেখা যায় প্রয়োজনের বাইরে অনেক বিদ্যুৎ বিল অপচয় করা হয়। যেখানে ফ্যান ও আলোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই সেখানে বিনা প্রয়োজনে ফ্যান ও লাইট গুলি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হয়। আর এই কারণে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। অপচয় করা কখনো উচিত না তাই মুখমন্ত্রীর নির্দেশিকা বাণী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলা শিক্ষা দফতর এই বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে।
রাজ্যের স্কুলগুলোর পাশাপাশি একাধিক সরকারি দপ্তরেও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আশাই এই নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার তিনি বৈঠকে রাজ্যে বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। প্রয়োজনের বাইরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে না।
সরকারি (Government of West Bengal) দপ্তরের AC ২৬ ডিগ্রীর উপরে চালানো যাবে না। দরকার হলে প্রতিটি সরকারি দপ্তরের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। তবে ওই দিনের বই থাকে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিল নিয়ে আলোচনা হয় না এর পাশাপাশি আরো একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই আলোচনার মধ্যে উঠে আসে বিধান নগরে জমি দখল হওয়ার ঘটনাটি।