Budget 2024: মন্ত্রী গঠনের পর খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) সরকার বাজেট পেশ করতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী ২২ জুলাই সংসদে বাজেট পেশ করা হতে পারে। তবে সরকারিভাবে এখনও বাজেট পেশের দিন চূড়ান্ত করা হয়নি। কর্মচারী সংগঠনগুলো আশা করছে কেন্দ্রীয় সরকার PF অ্যাকাউন্টধারীদের সর্বোচ্চ বেতন সীমার পরিবর্তন করতে পারে। মনে করা হচ্ছে এই সীমা হয়তো বাড়ানো হতে পারে।
বেতন সীমা ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে
সর্বভারতীয় এক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বেতন সীমার বৃদ্ধি করা হতে পারে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের অধীনস্ত (EPFO) কর্মীদের। গত প্রায় এক দশক ধরে বেতন সীমা ১৫,০০০ টাকা ছিল। বর্তমানে, ভবিষ্যত সঞ্চয় তহবিলের সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধি করার কথা ভাবনাচিন্তা করতে পারে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকার এই সীমা বৃদ্ধি করে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক।
সর্বোচ্চ সীমা শেষবারের মতো পরিবর্তন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে
প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ হল কেন্দ্রীয় সরকার (Government of India) দ্বারা চালু করা একটি অবসরকালীন সঞ্চয় তহবিল। এটি প্রধানত বেতনভুক্ত কর্মচারী এবং তাদের নিয়োগকর্তাদের নিয়ে তৈরি করা হয় ও কর্মচারীদের বেতনের একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ জমা রাখা হয়। এই সঞ্চয় তহবিলের উদ্দেশ্য হল কর্মচারীদের অবসরকালীন সময়ে আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এই সঞ্চয় প্রকল্প কর্মচারীদের জন্য সুরক্ষিত অবসরকালীন সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। প্রসঙ্গত প্রভিডেন্ট ফান্ডের বর্তমান সীমা ১৫,০০০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪-এ শেষবারের মতো কর্মচারীদের ভবিষ্যত সঞ্চয় তহবিলের সর্বোচ্চ সীমা সংশোধন করে ৬,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০০ টাকা করেছিল।বর্তমানে এটি কার্যকর আছে।
EPF সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
১. এটি চাকরিজীবী ব্যক্তিদের জন্য একটি একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প যেটি চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
২. এই স্কিমে আপনাকে যোগ দিতেই হবে যদি আপনি প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
৩. যদি আপনি চাকরি করেন তবে আপনার কোম্পানি/সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আপনার বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ আপনার EPAP অ্যাকাউন্টে জমা করে।
৪. জমা করা অর্থরাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে রাখা হয় এবং আপনি আপনার প্রয়োজন মতো সুদ সহ এই অর্থ আপনার কাজে লাগাতে পারেন।
৫. আপনাকে আপনার কোম্পানি আপনাকে EPF অ্যাকাউন্ট নম্বর দেবে। এই অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও আপনার নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে আপনার ভবিষ্যতের টাকা নিরাপদে জমা করা হয়েছে।
কখন এবং কত টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল বেতন সীমা?
(i) ১ নভেম্বর ১৯৫২ থেকে ৩১ মে ১৯৫৭ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-৩০০ টাকা।
(ii) ১ জুন ১৯৫৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৬২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-৫০০ টাকা।
(iii) ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬২ থেকে ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-১০০০ টাকা।
(iv) ১১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ থেকে ৩১ অগাস্ট ১৯৮৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-১৬০০ টাকা।
(v) ১ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ থেকে ৩১ অক্টোবর ১৯৯০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-২৫০০ টাকা।
(vi) ১ নভেম্বর ১৯৯০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-৩৫০০ টাকা।
(vii) ১ অক্টোবর ১৯৯৪ থেকে ৩১ মে ২০১১ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-৫০০০ টাকা।
(viii) ১ জুন ২০১১ থেকে ৩১ অগাস্ট ২০১৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল-৬৫০০ টাকা।
(ix) ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে-১৫০০০ টাকা।
বেতন থেকে কীভাবে পিএফ কেটে নেওয়া হয়
যদি EPFO আইন অনুযায়ী,কোনও কর্মচারীর বেস পে এবং DA-র ১২ শতাংশ টাকা কর্মচারীর পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংস্থাও সমপরিমাণ ১২ শতাংশ অর্থ জমা করে কর্মচারীর পিএফ অ্যাকাউন্টে। কোম্পানির দেওয়া এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ অর্থ EPF অ্যাকাউন্টে যায়, বাকি থাকা ৮.৩৩ শতাংশ অর্থ পেনশন স্কিমে জমা করা হয়।
আরও পড়ুন:
সরকার ২ লাখ টাকা দেবে কন্যা সন্তান হলেই! এই নয়া প্রকল্পে খুশির হাওয়া রাজ্যে
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য দারুণ খবর! ফের ভাতা বাড়ালি পশ্চিমবঙ্গ সরকার
Monthly income Scheme: ঘরে বসেই ৫ লক্ষের বেশি আপনার স্ত্রী ইনকাম করতে পারেন, পদ্ধতি জেনে নিন
উচ্চ মাধ্যমিক পাশে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ডে নাবিক পদে চাকরির সুযোগ! বিস্তারিত জেনে নিন