বর্তমান সময়ে পুলিশের থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের (Civic Volunteer) সংখ্যা বেশি হয়ে যাচ্ছে। পুলিশদের মতো ক্ষমতাও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের থাকেনা।
এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা (Civic Volunteer) কাজ করেন পুলিশের সহযোগী হিসেবে। কিন্তু ঘটনার তদন্ত বা তল্লাশিতে সিভিক ভলেন্টিয়াররা যেতে পারেন না।
এছাড়াও কেউ যদি থানায় জিডি (G.D) করেন সেই কেসও সিভিক ভলেন্টিয়াররা দেখতে পারেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও অধিকাংশ থানাই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ছাড়া চলতে পারেনা।
নবান্নের তরফ থেকে সিভিকদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল
নিয়ম অনুযায়ী সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) সহযোগী হিসেবেই ধরা হয়। তবে এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা দীর্ঘদিন ধরেই নিয়মের বিরুদ্ধে হাঁটছেন। এই বিষয়টি অনেকদিন ধরেই নবান্নের নজরে এসেছে।
তেমন অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে যে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) আইনশৃঙ্খলার ডিউটি দেওয়া হয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হাতে ওয়াকিটকি এবং লাঠিও তুলে দেওয়া হচ্ছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিজস্ব পোশাক পরিবর্তন করিয়ে তাদের জলপাই রঙের পোশাকও পড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ চলছে, কীভাবে আবেদন করবেন? রইলো বিস্তারিত
এরকম আরও অনেক কাজ দিয়ে করানো হচ্ছে। এই বিষয়টি সরকারের সামনে আসায় প্রশাসন বিষয়টিকে মোটেও ভালো ভাবে দেখছে না। এই কারণে নবান্নের তরফ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য চরম নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুখবর ১ কোটি মহিলাদের জন্য! এবার ১৫০০ টাকা করে ঢুকবে প্রতি মাসে
নবান্নের কড়া নির্দেশ
নবান্নের (Nabanna) তরফ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) অনৈতিক কাজ থেকে দূরে রাখার জন্য সরকারি নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কী কী অধিকার তা সেই নির্দেশিকায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উল্লেখ করা হবে। সেগুলির বাইরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে অন্য কোন কাজ করানো হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।