দেশের পড়ুয়াদের জন্য বিরাট সুখবর। ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অর্থাৎ ইউজিসি (University Grant Commission)-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের পড়ুয়াদের কথা ভেবে ২২ হাজার বই তৈরি করা হবে। ইউ জি সি (UGC) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি নতুন প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে।
আর এই প্রজেক্ট অনুসারে দেশের মোট ২২ টি আঞ্চলিক ভাষায় প্রচুর বই তৈরি করা হবে যাতে ওইসব ভাষার ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়াশোনায় মাতৃভাষা খুঁজে পায়। আর এতে তাদের পড়াশোনারও বিশেষ সুবিধা হবে।
নতুন এই প্রজেক্টের নাম ‘প্রজেক্ট অস্মিতা’ (Project ASMITA) , পুরো নাম Augmenting Study Materials in Indian Languages through Translation and Academic Writing। এ প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় মূর্তি।
ভারতীয় ভাষা সমিতি এবং ইউজিসির যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতের আঞ্চলিক ভাষা সমূহ যাতে বিশেষভাবে প্রাধান্য লাভ করে সেই কারণেই এই উদ্যোগ।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় ভাষায় বিভিন্ন নিয়মের মৌলিক বই লেখা এবং সেগুলোর অনুবাদের কাজ করা হবে। এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইকো সিস্টেম তৈরি করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে ২২ টি ভারতীয় ভাষার মধ্যে প্রত্যেকটিতে ১০০০ করে বই প্রকাশ করার অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মোট ২২ হাজার বহিঃপ্রকাশ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইউজিসি। এই বিষয়ে সম্পূর্ণটা জানিয়েছেন ইউজিসি (UGC)-র চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার (M. Jagadesh Kumar)।
আরও পড়ুন: শুধু মহিলা নয়, এবার যুবকরাও মাসে ১০,০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন! বিরাট ঘোষণা সরকারের
এই প্রকল্প যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় তার জন্য মোট ১৩টি নোডাল বিশ্ববিদ্যালয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য এই কাজে যুক্ত থাকবেন। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে।
প্রতিটি ভাষায় বই লেখার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) তৈরি করা হয়েছে। ইউজিসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে একাধিক ভাষায় বই লেখার ব্যাপারে সমস্ত কাজ করা হবে। পাশাপাশি বইয়ের প্রুফ রিডিং এবং ডিজাইন সংস্করণের জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: BSNL internet: দুরন্ত গতিতে চলবে ইন্টারনেট! BSNL-এর গ্রাহকদের ফোনে শুধু এই কাজটি করতে হবে
এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে ‘বহুভাষা শব্দকোশ’ তৈরি করা হয়েছে যেখানে ভারতবর্ষের একাধিক ভাষার অর্থ উল্লেখিত থাকবে। অর্থাৎ যে কোন ভাষার অর্থ অন্য ভাষার তে দেওয়া থাকবে। যাতে পড়ুয়াদের কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা না হয়। একাধিক ভাষায় অনুবাদের এই দায়িত্ব গ্রহণ করবে ভারতীয় ভাষা সমিতি এবং যৌথ উদ্যোগে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গোয়েজ।
আরও পড়ুন: সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ চলছে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিস্তারিত জেনে নিন