গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তারিখ ছিল। কিন্তু ঐদিনও তেমনভাবে কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং এই মামলার পরবর্তী সময়ের তারিখ ২৮ জুন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে যেসব প্রার্থীরা আপার প্রাইমারীতে নিয়োগ হওয়ার আশায় দিন গুণছিল তাদের আবার অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে।
বারবার হাইকোর্ট এভাবে তারিখ ঘোষণা করায় যেসব প্রার্থীরা হাইকোর্টের নির্দেশের আশায় বসে ছিল তারা হতাশ হচ্ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) এই নিয়োগ সম্পর্কে তাদের নিজের বক্তব্য আদালতে পেশ করেছে। জানা গেছে আদালত এর পরবর্তী শুনানিতে ফাইনাল বক্তব্য জানিয়ে দেবে। কিন্তু বারবার এভাবে তারিখ দেওয়ায় হতাশ হচ্ছে প্রার্থীরা।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আদালতে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলছে। এর পরিসমাপ্তি কবে হবে বা আদৌ কি তা হবে? প্রার্থীরা এই নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছে। তাদের শেষ ভরসা আদালত বারবার এভাবে তারিখ ঘোষণা করায় আর কোনরকম আশা দেখতে পারছে না তারা। তাদের দাবী সরকারের সদিচ্ছা না থাকায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। নিজেদের অধিকার লড়াইয়ে বারবার আন্দোলনে শামিল হয়েও ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না তারা।
চাকরি প্রার্থীরা আরো দাবী করেছে যে, প্রথম কাউন্সেলিং হয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং খুব দ্রুত শুরু করতে হবে এবং প্রার্থীদের খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ করতে হবে। ইতিমধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের প্রায় নয় হাজার প্রার্থীর কাউন্সিলিং হলেও দ্বিতীয় দফার প্রায় ২০০০ প্রার্থীর কাউন্সিলিং বাকি রয়েছে।
চাকরি-প্রার্থীদের মধ্যে একজন এই সম্পর্কে জানিয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোট শূন্যপদ ছিল ১৪ হাজার ৩৩৯টি। এরমধ্যে মেধা তালিকায় ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের নাম এসেছিল। প্রথম কাউন্সেলিং এ নাম এসেছিল ৮৯০০ জনের। এরপরে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং এখনো পর্যন্ত শুরু হয়নি। এখন তারিখের পর তারিখ দেওয়া হচ্ছে। আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ডিভিশন বেঞ্চে হবে। আদালত দীর্ঘদিন অপেক্ষারত এই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কী নির্দেশ দেয় সেটাই জানার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।