WBSSC: এসএসসি (WBSSC)-এর ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) পিছিয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি মঙ্গলবার দিন ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দিন অন্য কোনো মামলার শুনানি থাকায় এসএসসি (WBSSC)-এর চাকরি বাতিল মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হল। এসএসসি (WBSSC)-এর চাকরি বাতিল মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম (Firdous Shamim) এই বিষয়ে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) এসএসসি (WBSSC)-এর চাকরি বাতিল মামলার শুনানি মঙ্গলবার দিন ছিল। তবে এই দিন ট্যাক্স সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি থাকায় এসএসসি (WBSSC) মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার শুনানির দিন আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর রাখা হয়েছে।
এর ফলে অনেকেই ধৈর্য হারাচ্ছেন। তবে বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো উপায় নেই। ফিরদৌস শামিম জানাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলা হিসেবে এসএসসি (WBSSC) মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: ৯২,৩০০ টাকা পর্যন্ত বেতনে কলকাতায় ভারতীয় জাদুঘরে চাকরির সুযোগ! কোন কোন পদে নিয়োগ?
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ২০১৬ এসএসসি (WBSSC)-এর পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যেতে পারে হাইকোর্টের এই রায় যদি কার্যকর হয়।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসএসসি (WBSSC)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারা অযোগ্য এবং কারা যোগ্য সঠিকভাবে বলা তাদের পক্ষে অসম্ভব।
হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এরপর পুরো প্যানেলটিই বাতিল করে দেয়। মামলাটি তারপর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) যায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) যাওয়ার পরই এসএসসি (WBSSC) অন্য কথা বলছে। সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি (WBSSC) জানাচ্ছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করার মতো সুনির্দিষ্ট নথি তাদের কাছে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই ৩,১১৫ শূন্য পদে পূর্ব রেলে কর্মী নিয়োগ চলছে, বিস্তারিত জেনে নিন
যে পদ্ধতিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের এসএসসি (WBSSC) আলাদা করতে চাইছে সেটি বৈধ কিনা সেই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) আগামী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে হাজার হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সেই শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, সঠিকভাবে অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে পারলে পুরো প্যানেলটি বাতিল করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar: পুজোর আগেই সুখবর! নতুন আপডেট এলো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে, বড় ঘোষণা মমতার